Banar

আমি

পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দিয়েছে, তবে সংঘর্ষে জড়ায়নি: উপদেষ্টা নাহিদ

পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দিয়েছে, তবে সংঘর্ষে জড়ায়নি: উপদেষ্টা নাহিদ

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরা এলাকায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সংঘর্ষে জড়ায়নি। পুলিশ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারত।

একইসঙ্গে, এলজিআরডি এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা বাধা ডিঙিয়ে চলে যায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চায়নি। ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকায় কয়েকটি কলেজে হামলার ঘটনায় পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া কথা বলেছেন।

গত দুই দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই উপদেষ্টা।

গত দুই দিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তথ্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের দুর্বলতা ছিল। সেটা আমরা স্বীকার করছি। পুলিশ একটা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারত। সে কারণে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে ঠিকই, কিন্তু সংঘর্ষে জড়ায়নি। পুলিশের দিক থেকে দুর্বলতা থাকলে সেটাও আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে আরও সক্রিয় করতেই রদবদল করছি। কারও ব্যর্থতা থাকলে তাদেরও আমরা পরিবর্তন করব।

প্রথম আলোর ঘটনা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। রোববারও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও বাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সেটা আমরা সমর্থন করি না। এ ধরনের ঘটনা পরে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

সোমবার একটি ঘটনাবহুল দিন কেটেছে বলে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকগুলো ঘটনা আজ ঘটেছে। এর মধ্যে দেখা গেছে ভোররাত থেকে ঢাকায় বাস, মাইক্রোবাসে করে কিছু সাধারণ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে ঋণ দেওয়ার নাম করে। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান নামে একটি প্ল্যাটফর্ম পুরো মিথ্যা প্রচারণা করে মানুষকে নিয়ে এসেছে। ওই প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/280046/পুলিশ-শিক্ষার্থীদের-বাধা-দিয়েছে-তবে-সংঘর্ষে-জড়ায়নি-উপদেষ্টা-নাহিদ

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Below Post Responsive Ads code (Google Ads)

buttons=(Accept !) days=(20)

https://oodruhoufouzair.com/4/7922562
Accept !