বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায়: কাদের সিদ্দিকী
প্রতিনিধিবঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, চেঙ্গিস খানেরা মিসর সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য মিশরকে জ্বালিয়েছিল। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে। যারা আজকে সরকারে আছে এবং আন্দোলনে সফল হয়েছে তারা এর সঙ্গে নাই- এটা তাদের বলা উচিত ছিল এবং দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সারা বাংলাদেশের অর্ধেকটা পুড়ে-জ্বলে ছারখার হয়ে যেত, কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়া মানে অসভ্যতার শেষ সীমায় আমরা পৌঁছে গেছি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি এবং করি। যখন যে ক্ষমতাবান থাকে, সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। অতীতকে ভুলে গেলে বর্তমান যেমন নিপতিত হবে, ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। আমি একটা কথাই বলব, স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতাদের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে কোনোমতেই অস্বীকার নয়।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। আর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা বিজয় দুটোই এক কথা না। মানুষের জন্ম-মৃত্যুর মতো স্বাধীনতা একবারই। কিন্তু বিজয় বারবারই আসে। তেমনিভাবে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান দেশে একটা ঐতিহাসিক বিজয় এনেছে। এই দেশ মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদামতো পরিচালিত করা হয়নি। সেই কারণে মানুষের বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সফলতা এসেছে। আমি সেই সফলতাকে অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই, আন্তরিকভাবে শুভকামনা জানাই।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে কাদের সিদ্দিকি এসময় আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। মানুষ ভোট দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারে বারে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে এবং ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের ইচ্ছার সময়ের মধ্যে নির্বাচনে না গেলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি যেমন বিক্ষুব্ধ হয়েছিল, তার চাইতেও হয়তো বেশি বিক্ষুব্ধ হবে। নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি রোষানলে পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/politics/281138/বঙ্গবন্ধু-জাদুঘর-পোড়ানো-সবচেয়ে-বড়-অন্যায়-কাদের-সিদ্দিকী